480
ঢাকাশনিবার , ১৩ এপ্রিল ২০২৪
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  5. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  6. উদ্যোক্তা
  7. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  8. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  9. গণমাধ্যম
  10. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  11. জনশক্তি ও পর্যটন
  12. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  13. জাতীয়
  14. ডিএস‌ই- সিএস‌ই-বিএস‌ইসি
  15. নগরজীবন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঈদের দিন স্ত্রীকে মাংস কিনে খাওয়াতে না পেরে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক
এপ্রিল ১৩, ২০২৪ ৩:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জামালপুরের বকশিগঞ্জে স্ত্রীকে মাংস কিনে খাওয়াতে না পেরে স্বামী হাসান আলী (২৬) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের বান্দের পাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাসান আলী ওই এলাকার রহমত আলীর ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাসান আলী প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যান। শুক্রবার শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রী আফরোজা বেগমকে নিজ বাড়িতে আনার কথা ছিল হাসানের। সকাল ১১টা পর্যন্ত শ্বশুর বাড়িতে না যাওয়ায় তার স্ত্রী আফরোজা বেগম স্বামী হাসানের বাড়িতে চলে আসেন এবং ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। এ সময় তিনি ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে হাসান আলীকে ঘরের আরার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এসে পুলিশকে খবর দিলে বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটির উদ্ধার করে। এ সময় পাশে একটি চিরকুট দেখতে পায় পুলিশ।

চিঠিতে হাসান আলী লিখেছে, ‘মা-বাবা তোমরা ক্ষমা করে দিও। আমি মরার পরে আমার বউ বাচ্চাকে দেখে রেখো। আমি জানি আমার বউ আমার সাথে রাগ করছে। ঈদে সবাই গুছ (গোস্ত) খাইছে, কিন্তু আমি বউকে গুছ খাওয়াইতে পারি নাই। আমি আমার বউয়ের মুখ ঈদের দিন বেজার (মন খারাপ) দেখছি। যদি পারো আমাকে ক্ষমা করে দিও।

তিনি আরও লিখেন, ‘তার স্ত্রী আফরোজা বেগমকে অনেক ভালবাসেন এবং তাকে ও তার সন্তানকে দেখে রাখার জন্য নিজ বাবা-মার প্রতি অনুরোধ করেন।’

স্ত্রীর উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘আফরোজা তোমার জীবন স্বাধীন করে দিলাম। তোমার জীবনে কেউ নাই।’

বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, অভাব-অনটনের কারণে সেই ব্যক্তি এই কাজ করে থাকতে পারে। পরিবারের আপত্তি না থাকায় বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।