বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর সভাপতি ফারুক হাসান ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলামের সঙ্গে রোমে, ১ এপ্রিল (সোমবার) বাংলাদেশ দূতাবাসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে দূতাবাসের ইকোনমিক কাউন্সেলর মো. আল আমিন এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি (শ্রম) আসিফ আনাম সিদ্দিকসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার কেন্দ্রে ছিলো বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে সম্ভাবনাময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগগুলো কাজে লাগানো, বিশেষ করে ইতালিতে বাংলাদেশী পোশাক রপ্তানি, বিশেষভাবে উচ্চ-মূল্যের ফ্যাশন পণ্যের রপ্তানি বাড়ানো।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং রূপকল্প তুলে ধরেন।
তিনি মৌলিক আইটেম থেকে হাই-এন্ড পণ্য, বিশেষ করে ম্যান-মেইড ফাইবার এবং প্রযুক্তিগত টেক্সটাইল ভিত্তিক ফ্যাশন আইটেমগুলোর দিকে শিল্পের ক্রমবর্ধমান স্থানান্তরের বিষয়টিও তুলে ধরেন। যেহেতু ইতালির বাজারে হাই-এন্ড পোশাকের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে, তাই বাংলাদেশের জন্য ইতালিতে এ ধরনের পণ্য রপ্তানির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে ।
ফারুক হাসান বাংলাদেশে ইতালীয় বিনিয়োগকারীদের সম্ভাব্য বিনিয়োগের জন্য নন-কটন টেক্সটাইল, খাদ্য ও কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ, আইটি, হালকা প্রকৌশল, চামড়া এবং জাহাজ নির্মাণসহ প্রতিশ্রুতিময় খাতগুলোর উপর জোর দেন।
তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল শিল্প খাতগুলোতে ইতালি থেকে বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং ইতালীয় ক্রেতারা, যারা কিনা বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং করে না, তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং করার জন্য উদ্বুদ্ধকরণের বিষয়ে দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়াতে ঢাকা ও রোমের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন। বিজিএমইএ সভাপতি ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রদূতকে কনস্যুলার পরিষেবাগুলোকে আরও সহজীকরণ করার এবং ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করার আহবান জানান। তিনি বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) এর শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে বিইউএফটি এবং ইতালির ফ্যাশন ইনস্টিটিউটগুলোর মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলামকে অনুরোধ জানান।