উবা ডেস্ক: পোশাক ব্রান্ড আড়ং পণ্য বিক্রির আড়ালে সমকামিতার প্রচার ও প্রসার চালাচ্ছে এমন অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি বয়কটের ডাক দিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। সমকামিতার চিহ্ন সম্বলিত প্রতিষ্ঠানটির পাঞ্জাবির ছবি এখন ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে ইসলাম-বিদ্বেষী এই ঘটনায় প্রতিবাদে উত্তাল নেট দুনিয়া।
এদিকে আড়ং বয়কটের ডাকে আয়োজিত একটি কর্মসূচি পুলিশ পণ্ড করে দিলে সমালোচনার ঝড় শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কর্মসূচি পণ্ডের ভিডিও দ্রুতই ভাইরাল হয়। যেখানে অনুমতি না নেওয়ার অজুহাত দিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে। এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ জানিয়েছেন নেটিজনরা।
এর কয়েক মাস আগে সারা দেশে ব্র্যাকের সকল প্রতিষ্ঠান ও পণ্য বয়কটের ঘোষণা দেয়া হয়। দেশের ৯২ শতাংশ মুসলমানকে শুধু ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় নয় ব্র্যাক সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান বয়কট করার আহ্বান জানানো হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড় উঠে সপ্তম শ্রেণী শরীফ শরিফার গল্প নিয়ে।
ফেসবুকে পাঞ্জাবির ছবি পোস্ট করে সচেতনতামূলক পোস্টে শোয়াইব আহমেদ লিখেছেন, বয়কট আড়ং (ব্রাক)। বুঝলেন কিছু? এখন তারা সরাসরি রঙধনু পাঞ্জাবী বিক্রি করছে, এবং দ্বীনি আদর্শের বিরুদ্ধে সরাসরি (যুদ্ধ) ঘোষণা করেছে।
আপনার করণীয় কি? এবারের ঈদের নামাজ রঙধনু পাঞ্জাবী পরে পড়বেন? মনে রাখবেন, রঙধনুওয়ালাদের পাঞ্জাবী পরা মানেই তাদের আদর্শ মেনে নেওয়া।আপনার ঈমানের শক্তি থাকলে ওদের সবকিছু প্রত্যাখ্যান করুন। এটি আল-ওলা ও আল-বারা এর দাবী।
খেয়াল করলে দেখবেন, "রংধনুর রং হয় সাতটি, আর সমকামিতার সিম্বলের রং হয় ছয়টা। এইবার মিলিয়ে দেখেনতো, পাঞ্জাবিতে কি রংধনুর ৭ রং, নাকি সমকামিতার ৬ রং?"
গভীর উদ্বেগ জানিয়ে জাহাঙ্গীর কবির লিখেছেন, আহা! কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আমাদের! যে পাঞ্জাবী পরিধান করে আপনি নামাজ পড়বেন, আড়ং সেখানে অভিশপ্ত কওমে লুতের চিহ্ন সেঁটে দিয়েছে।সবসময় এ প্রতিষ্ঠানে নারীদের পোষাকে আধুনিক স্টাইলের নামে অপসংস্কৃতি ও জাহিলিয়াতকে প্রমোট করে থাকে। অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে দামও তাদের চড়া।
অবাক করা ব্যাপার হলো - 'শরিফ শরিফা' নিয়ে এতো আলোচনা হওয়ার পর তারা সুস্পষ্ট ভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সমকামিতার বিস্তারে মাঠে নেমেছে। মুসলিমদের কাছে জামা বিক্রি করবে, মুসলিমদের ঈদে প্রচুর ব্যবসা করবে, আবার মুসলিমদের ঈমান আকিদা নিয়ে খেলবে! কি ভয়ংকর রসিকতা!?
আপনি আমি সচেতন না হলে খেলবেইতো। আমরা সিরিয়াস থাকলে এমন কাজ কখনোই তারা করতো না। কারণ ব্যবসা লসের চিন্তা তখন মাথায় থাকতো। এখন তাদের এমন চিন্তা নেই, কারণ আমরা সচেতন নই। আমরা আলাভোলা। তাই আমাদের নিয়ে অন্যরা খেলবেইতো!এখন সিদ্ধান্ত আপনার, আপনি ওখান থেকে পণ্য কিনবেন কি কিনবেন না। #বয়কট_আড়ং।
মাসুদ পারভেজ এহসান লিখেছেন, বাংলাদেশের যারা ধর্ম প্রাণ তাদের হাতে টাকা নাই। এই 'টাকা নাই' এর পরিমাণ হবে ৮০% এর উপরে যদিও এদের মধ্যে ধর্ম প্রাণ খুবই কম। এই 'টাকা নাই' পার্টি যদি আড়ং বয়কট করে তাহলে আড়ং এর কিছু যায় আসে না।
তাহলে যাদের হাতে টাকা আছে তারা কেন আড়ং বয়কট করছে না? এর কারণ এরা 'সেকুলার' যারা ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু। এরা আল্লাহকে মানে কিন্তু আল্লাহর দেয়া বিধান মানে না। এদের অনেকেই নামাজ পড়ে কিন্তু হালাল ইনকাম করে না। এদের অনেকেই হজ্ব করে কিন্তু নামাজ রোজা হজ্বের বাইরেও যে ইসলাম আছে তা জানে না অথবা জানলেও মানতে চায় না। এদের সামনে আপনি ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে দেখেন। আপনার সাথে তারা তর্ক করবে ইসলামের পক্ষে কিন্তু এদের টাকায় কেনা প্রোডাক্ট এর টাকা যে ইসলামের বিরুদ্ধে খরচ হচ্ছে এটা তারা চিন্তাও করবে না।
আহমেদ হাসনাইন জোহেব লিখেছেন, প্রতিবাদের মুখে আড়ং সমকামীতা চিহ্ন সম্বলিত পোশাক হাইড করে ফেলেছে। তবে এটা তাদের আইডিওলজিকে হাইড করে না। প্রিয় মাতৃভূমিতে কারা সমকামীতা আমদানি করতে চায় তা তো স্পষ্ট। বয়কট শুধু গুটিকয়েক মানুষ করবে কেনো? আপনি যদি সমকামিতার বিরুদ্ধে হন,কেনো আজও আড়ং বয়কট করছেন না!
বয়কটের ডাক দিয়ে উমর আল ফারুক লিখেছেন, এই ঈদে সমকামীদের প্রতিষ্ঠান আড়ং বয়কট করি, সমকামীতাকে না বলি।আড়ং শুধুমাত্র সমকামীদের, তাই আড়ংয়ে গিয়ে সমকামীদের প্রমোট না করি এবং নিজেকে সমকামীদের সহযোগী না বানাই।
একমাত্র সমকামীরাই এবার আড়ংয়ে যাবে। তাই নিজেকে সমকামী প্রমাণ করতে না চাইলে আড়ং বয়কট করুন।আসুন, নিজে আড়ং বয়কট করি, আত্মীয় স্বজন বন্ধু মহলকে সমকামীদের সম্পর্কে সতর্ক করি।
মোহাম্মদ ইউসুফ আড়ং বয়কট কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই। আপনি যদি মুসলমান হন তাহলে অবশ্যই ব্রাকের সকল পূর্ণ বয়কট করুন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: জোনায়েদ মানসুর, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৫৬ পুরানা পল্টন, ঢাকা -১০০০। রেজিস্টার্ড : ২৯২ ভূইয়া পাড়া প্রধান সড়ক, খিলগাঁও, ঢাকা- ১২১৯। সম্পাদকীয়: ০১৭৮৯৪২১৪৪৪, বার্তাকক্ষ : ০১৯১৩৫৫৫৩৭১। ই-মেইল: inextpr@gmail.com , (বিজ্ঞাপন), newsuddokta@gmail.com (বার্তাকক্ষ)