480
ঢাকাশুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  5. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  6. উদ্যোক্তা
  7. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  8. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  9. গণমাধ্যম
  10. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  11. জনশক্তি ও পর্যটন
  12. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  13. জাতীয়
  14. ডিএস‌ই- সিএস‌ই-বিএস‌ইসি
  15. নগরজীবন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দেশের সবুজ অর্থনীতিতে সবুজ বিল্ডিংয়ের জন্য সহযোগী হয়ে কাজ করছে ৩৬০ টোটাল সলিউশন

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৩:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সবুজ প্রকল্পের অর্থায়ন একটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং এবং জটিল বিষয় এবং এটি নতুন প্রকল্প প্রতিষ্ঠা এবং কোম্পানির বৃদ্ধির দিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দেশের সবুজ অর্থনীতিতে সবুজ বিল্ডিংয়ের জন্য সহযোগী হয়ে কাজ করছে ৩৬০ টোটাল সলিউশন লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের অগ্রগামী এবং নেতৃস্থানীয় গ্রীন বিল্ডিং কনসালটেন্সি কোম্পানি, ৩৬০ টিসিএল এখন ৩৫৫ প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। বিশ্বের শীর্ষ লীড সনদধারী বাংলাদেশে এসএম সোসিংয়ের কনসালটেন্সি হয়েও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি 360 টোটাল সলিউশন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনন্ত আহমেদ বলেছেন অনেক কথা। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জোনায়েদ মানসুর

উবা : যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) মুলত কী?
অনন্ত আহমেদ : বিশ্বের যে কয়টি প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব (গ্রিন ফ্যাক্টরি) স্থাপনার সনদ দেয় তাদের মধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল-ইউএসজিবিসি। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউএসজিবিসি। সংস্থাটির অধীনে কলকারখানার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভবন, স্কুল, হাসপাতাল, বাড়ি, বিক্রয়কেন্দ্র, প্রার্থনাকেন্দ্র ইত্যাদি পরিবেশবান্ধব স্থাপনা হিসেবে গড়ে তোলা যায়। তারা লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন (এলইইডি) সনদ দেয়। তারা ‘লিড’ নামে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। লিড কেবল মাত্র একটি সনদপত্র নয়। এটি সবচেয়ে কার্যকর ব্যবসা পরিচালনা ব্যবস্থাও। সাধারণত অন্যান্য স্থাপনার চেয়ে পরিবেশবান্ধব স্থাপনায় ১-২ শতাংশ খরচ বেশি হতে পারে। তবে বাড়তি খরচ করলেও দীর্ঘমেয়াদি সুফল পাওয়া যায়। এখানে বলে রাখা দরকার যে, লিড বিল্ডিং করতে কখনো কখনো ২ থেকে ৫ শতাংশ খরচ কমেও যায়, যদি কাজটি আমরা ঠিক মতো করি। মোট ব্যয় সাশ্রয় ছাড়াও, এই প্রকল্পটি এনার্জি এবং পানি ব্যবহারে কার্যকর পরিচালন ব্যয় সাশ্রয়ে কাজ করে। মোট ১১০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০–এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়। ইউএসজিবিসি-তে নিবন্ধিত বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে সাতশত কারখানা-ভবন পরিবেশবান্ধব। এগুলোর মধ্যে সাড়ে ৪শ তৈরি পোশাক কারখানার বাইরে। সেগুলোর কোনোটি বাণিজ্যিক ভবন, কোনোটি আবার চামড়াজাত পণ্য কিংবা জুতা-স্যান্ডেল তৈরির কারখানা। সনদটি পেতে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়। ভবন নির্মাণ শেষ হলে কিংবা পুরোনো ভবন সংস্কার করেও আবেদন করা যায়।

উবা : ইউএসজিবিসির সনদ পাওয়ার কিকি শর্ত রয়েছে?
অনন্ত আহমেদ : ইউএসজিবিসির সনদ পাওয়ার জন্য নয়টি শর্ত পরিপালন করতে হয়। তার মধ্যে আছে এমন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করতে হয়, যাতে কার্বন নিঃসরণ কম হয়। এ জন্য পুনরুৎপাদনের মাধ্যমে তৈরি ইট, সিমেন্ট ও ইস্পাত লাগে। বিদ্যুৎ খরচ কমাতে সূর্যের আলো, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী বাতি ও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হয়। ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের পাশাপাশি পানি সাশ্রয়ী কল ও ব্যবহৃত পানি প্রক্রিয়াজাত করে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করতে হয়। এ ছাড়া স্থাপনায় পর্যাপ্ত খোলা জায়গা রাখার ব্যাপারে উৎসাহ দেয়া হয়। সব মিলিয়ে পরিবেশবান্ধব স্থাপনায় ২৪-৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ, ৩৩-৩৯ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ এবং ৪০ শতাংশ পানি ব্যবহার কমানো সম্ভব।

উবা : দেশে লিড সার্টিফায়েড সনদধারী পোশাক কারখানার সংখ্যা কত?
অনন্ত আহমেদ : বাংলাদেশের প্রথম লিড সারটিফাইড প্রকল্প হচ্ছে ‘সি আই পি এল’ একটি বিল্ডিং যা ৯ মে ২০১১ সালে সনদপ্রাপ্ত হয়ে, এটি ছিল একটি পুড়নো বিল্ডিং । বিজিএমইএর তথ্য বলছে, দেশে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা হলো ২১৩টি। এর মধ্যে ৮০টিই লিড প্লাটিনাম সনদধারী। এ ছাড়া ১১৯টি গোল্ড, ১০টি সিলভার এবং চারটি কারখানা সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০ পরিবেশবান্ধব কারখানার ৯টিই বাংলাদেশে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি লাভ করেছে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর এসএম সোর্সিং। ১১০ নম্বরের মধ্যে কারখানাটি ১০৬ পেয়েছে। এটি আমাদের সমন্বয় করা প্রতিষ্ঠান।

উবা : 360 টোটাল সলিউশনের পরিষেবাগুলো যদি বলতেন?
অনন্ত আহমেদ : আমাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ হচ্ছে লিড সনদ প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করা। আমরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়াই পরামর্শক হসেবে সঙ্গে থাকি । এছারাও রয়েছে নতুন প্রকল্প অর্থায়ন। প্রকল্পের পোর্টফোলিও এবং প্রস্তাবনা। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা প্রতিবেদন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টেকসই (সবুজ) পুনঃঅর্থায়ন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গ্রীন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (GTF)। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে GTF-এর জন্য এনার্জি অডিট পরিষেবা। USGBC (LEED) গ্রীন বিল্ডিং সার্টিফিকেশন। সাপোর্ট সফটওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম এবং এসওপিসহ সম্পূর্ণ আর্থিক সেটআপ। এছাড়া 360 TSL ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি সার্ভিসের ফিনান্স প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে – প্রজেক্ট অ্যাসেসমেন্ট, ফাইন্যান্সিং এবং কোলাবরেশন এবং কনসালটেন্সি সাপোর্ট।

উবা : ৩৬০ টোটাল সলিউশন লিমিটেডের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান কারা?
অনন্ত আহমেদ: ৩৬০ টিসিএল বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় টেকসই উন্নয়ন পরামর্শদাতা কোম্পানি, দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের, নেতৃস্থানীয় আরএমজি, জুতা শিল্প, অর্থনৈতিক অঞ্চল, নির্মাণ শিল্প এবং অন্যান্য বিভিন্ন কোম্পানিকে সেবা দেয়। ৩৬০ টিসিএল দ্বারা প্রদত্ত পরিষেবাগুলি গ্রীন বিল্ডিংয়ের জন্য বিভিন্ন ডিজাইন এবং অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তাকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং বিল্ডিংয়ের জীবন-চক্র জুড়ে উচ্চ পারফরম্যান্স অপারেশন নিশ্চিত করে। ৩৬০ টিসিএল এখন ৩৫১ প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ওয়ালটন, আকিজ, ডিবিএল, ইস্পাহানি, হামস, ইউনিফিল, ক্রোনি, মাসকো অন্যতম।

উবা : আপনাদের প্রতিষ্ঠানে গ্রীন বিল্ডিং ওয়ার্কশপ বিষয়ে কিছু বলুন ?
অনন্ত আহমেদ : ৩৬০ টিসিএল সফলভাবে সংগঠিত এবং ২৮ দিনব্যাপী গ্রীন বিল্ডিং ওয়ার্কশপ সম্পন্ন করেছে ২৯৪০ জন প্রশিক্ষিত এবং ১১টি দুই দিনব্যাপী এলইইডি জিএ পরীক্ষার প্রস্তুতি কর্মশালা এবং প্রশিক্ষিত ১৯৫ বেশি পেশাদারদের সাথে।উ

বা : আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে উল্লেখযোগ্য লিড সনদধারী সম্পর্কে যদি কিছু বলেন?

অনন্ত আহমেদ : আমাদের সমন্বয়ে লিড প্লাটিনাম পেয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্কোর ধারী প্রতিষ্ঠান এসএম সোর্সিং। পৃথিবীর চতুর্থতম গ্রীন প্রকল্প নীট এশিয়া লিমিটেড ও আমরা সম্পন্ন করেছি যা ৯৯ পয়েন্ট পেয়েছে । আমরা ইতোমধ্যে ৪৫ টি প্রকল্প সম্পন্ন করেছি যার মধ্যে ২৮ টি প্লাটিনাম এবং ১৭ গোল্ড প্রকল্প রয়েছে। সূত্র: প্রবা